বাঙালির অধিকার
এ কে মিজান
আলী প্রকাশনা
প্রকাশ কাল :২৫ মার্চ, ২০১১
স্বত্ব: লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
প্রচ্ছদ: এ কে কলি
কম্পিউটার কম্পোজ: আলী আহমেদ
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: রমেন মন্ডল, অসীম বিশ্বাস ,নিত্যানন্দ রায়,শামীম আহসান ,বিজন রায়, মনিমোহন বিশ্বাস
পরিবেশক:
আলী প্রকাশনা, ২৬/১ মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা
মূল্য: ২০ টাকা
ওঝইঘড়.৯৭৮-৯৮৪-৯৯১-৯০৮-২
উৎসর্গ
বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা শহীদ হয়েছেন
দুটি কথা
বাঙালির অধিকার বইটিতে বাংলার নিপীড়িত মানুষের জীবন যাপনের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের সন্ত্রাস নৈরাজ্যবাদের যে ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন। তা অবশ্যই পাঠকের মন জয় করবে বলে আমি মনে করি।
এ,এস,এম কামরুল আহসান
প্রভাষক, কম্পিউটার বিভাগ
বঙ্গবন্ধু মহিলা ডিগ্রি কলেজ
চিতলমারী, বাগেরহাট।
সূচীপত্র:
১.বাঙালির অধিকার ০৭
২.পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার অভিব্যাক্তি ১১
৩.ইতিহাসের শেষ অধ্যায় ১৩
৪.আমি আমাকে দেখেছি ২০
৫.বাঙালি সন্তান ৩০
বাঙলির অধিকার
ঘাতক দালাল নির্মূল করব,
দেশ মাতাকে আমরা গড়ব।
হুঁশিয়ার সাবধান - সন্ত্রাস বেঈমান,
রক্ষা করব মাতৃভূমির মান।
আমরা বাঙালি সাহসের অভিযান,
প্রয়োজনে প্রাণ দিব-
দিবো নাকো মান।
সুদীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম,
অগ্নি আকাশে রক্তের স্রোতের সরগাম।
চিলের ডানায় ভর করে বাসা বেধেছিল-
রাজাকার আল বদর, আল সামস্
রুখতে হবে ,জাগতে হবে,
এই মাটি থেকে সরাতে হবে,
এইডস ক্যান্সারের জার্মস্।
মাটির মায়ায় ফসলের ছায়ায়
আমরা বাঙালি,
অশ্রু আজ মুছার সময় এসেছে
এই বাংলায় থাকবে না দালালী।
মাটির প্রয়োজনে খাটি সোনা হয়ে
সন্ত্রাসবাদ জঙ্গীবাদ রুখতে গিয়ে
যদি দান করি প্রাণ।
এই মাতৃভূমি মা তুই রক্ষা করিস
সংগ্রামী চেতনার গোঁধূলি ভালবাসার অমর আত্মার সম্মান।
তোর কোলেতে ঘুমিয়েছি মা ভালবাসার ছায়ায়,
তোর আঁদরের চাঁদর গায়ে আমার এই কায়ায় ।
তোর বুকের গন্ধ মাগো আমার সারা গায়,
তোর পরশে তৃষ্ণা মেটে আমার মনোমায়ায়।
তুই মা আমার সংগ্রামী জীবনের অগ্নি চেতনা ,
ফুল সজ্জায় সজ্জিত করব তোরই বিছানা।
তোর দেহেতে থাকবে নাকো আবর্জনা জঞ্জাল,
রক্ত মাখা বিজয়ের শার্টে লিখে দেব উজ্জ্বল ।
নিঃশ্বাসে প্রাণ যায় যাক-
ভয় করি নাকো - কোন সন্ত্রাস।
তুই মা আমার সাথে থাকিস,
সাহস যোগীয়ে মাতিয়ে রাখিস
তোর আসনে আসর বিছিয়ে,
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেব মিশিয়ে।
মধ্য- রাতের আবদার,
করতে দেব না কারো আর।
মাগো তোর অন্তর পুড়ে ছার খার,
আমাদের সংগ্রাম চলবে বার বার।
থেকো না বিপ্লবী মন ঘরে বসে,
সংগ্রামী চেতনায় যোগ দাও আজ এসে ।
আজ সুষ্ঠু সমাজের প্রতিশ্রুতি একতাই,
জঙ্গীবাদ, সা¤্রাজ্যবাদ, ঘাতক দালালের নির্মূল চাই।
এ আমার সৃষ্টি সুখের দৃষ্টি শ্লোগান,
জেগে ওঠো দেশ-মাতা, থেমে যাও বেঈমান।
জঙ্গীবাদ শেষ করতে আমাদের অঙ্গীকার,
এসো সবাই মিলে হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করি এবার।
আমরা সন্ত্রাস চাই না
আমরা দুর্নীতি চাই না
আমরা ইভটিজিং চাই না
আমরা দেশদ্রোহী চাই না
আমরা লুটপাট চাই না
আমরা অশুভ রাজনীতি চাই না
আমরা চাই না কোন অন্ধকার।
চাই শুধু বেঁচে থাকার দাবি নিয়ে
বীর বাঙালির সমধিকার।
পঙ্গ ুমুক্তিযোদ্ধার অভিব্যাক্তি
মনে পড়ে বারে বারে,
ইতিহাস যাচেছ ঘুরে।
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করে,
রাজাকারের ছেলে ইতিহাস গড়ে।
সনদপত্র চাই , সনদপত্র চাই
যোদ্ধার গায়ে সেক্টর নাই
পঁচা লাশে গন্ধে,
নিঝুম নিথর সন্ধে।
কৃষক শ্রমিক কুলির গান ,
এই যুদ্ধে দেব প্রাণ।
সনদপত্রের আশা,
তখন ছিল খোশা।
সময়ের প্রয়োজন,
যুদ্ধ ছিল তখন।
সংগ্রাম ছিল মুক্তির,
শ্রদ্ধা শুধু সাত শ্রেষ্ঠ বীর
কৃষক- শ্রমিক- কুলির দল,
মুক্তিযোদ্ধার জন- বল
নেই কো তাদের কোন প্রমাণ
দেশের জন্য দিল প্রাণ
যুদ্ধ আমাদের সান্ত¦না,
নয়টি মাসের বন্দনা।
ইতিহাসের শেষ অধ্যায়
আমি একটি ইতিহাস লিখবো
বীর মুক্তিযোদ্ধার-
দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করার ইতিহাস।
আমি তাকে চিনি না ,জানি না,
কোন দিন তাকে দেখিনি।
কাকতালীয় ভাবে -হঠাৎ একদিন
ভিক্ষুক থেকে মুক্তিযোদ্ধা।
আমি সেই ভিক্ষুককে নিয়েই -
মুক্তিযুদ্ধের একটি নতুন ইতিহাস লিখবো।
প্রাতঃ বেলায় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে
আমার দরজায় দাঁড়ানো- এক বয়োবৃদ্ধ,
বয়স আশি ছুঁই ছুঁই।
মাজাটা দুমড়ে মুচড়ে গেছে বয়সের ভারে।
কোকিল কন্ঠে মুখের শব্দগুলো ছিল
অস্পষ্ট- মা, আমাকে কয়টা ভিক্ষা দিন।
ঘর থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে যাই-
দুটো টাকা নিয়ে তাকে দেওয়ার জন্য।টাকাটা তার হাতে দিতেই আমার
অবাধ্য চোখের দৃষ্টি যায়-
তার ডান হাতের কব্জির ওপরে একটি-
বুলেটে চিহ্ন।
আমি ভেবে ছিলাম-
হয়তো তিনি কোন ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন।
কিন্তু আমার অবাধ্য মনের উত্তরটা সঠিক হলো না।
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি,
ভবিষ্যতে বলবো- এই আমি,
আমি একটি নতুন ইতিহাস লিখবো।
আমার নিজের মনের অজান্তে -
ঘরে ডেকে, নিজ বিছানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম-
আপনার নাম -
আমার নাম- নিতাই চন্দ্র সেন।
আপনার হাতে ওটা কিসের দাগ?
প্রথমে না সূচক , না সূচক বাক্য উচ্চারণ।
আমি মুখ ফস্কে বলেই ফেললাম -
নীরবতাই বলে দেয় -
আপনি কোন ডাকাত দলের সর্দার।
সে বলল-হ্যাঁ বাবা , আমি ডাকাত ই ছিলাম -
এই দেশের মানুষের স্বাধীনভাবে চলার জন্য আমি ডাকাতি করেছি।
এই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি ডাকাতি করেছি।
তার কথার সুরে - আমি বুঝে নিলাম
সে এক জন ’’বীর মুক্তিযোদ্ধা”।
আমি আবারও প্রশ্ন করলাম -
আপনার এমন অবস্থা কেন?
যুদ্ধের সময় আমার স্ত্রী, পুত্র - কন্যা
সব হারিয়েছি !
তারপর যুদ্ধ শেষ হলো -
সাথে সাথে আমার জীবনের
সব কিছু শেষ হলো !
ভেবেছিলাম মাতৃভূমিতে স্বাধীন ভাবে
অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবো।
কিন্তু সেটা হলো না!
স্বাধীন দেশের , স্বাধীন শিয়াল, কুকুর
গুলো, লেজ উঁচু করে- আমাকে ইশারা করে।
সে তো রাজাকার, আল বদরের দল।
আজ ইতিহাসের পাতায় তারা
সনদ প্রাপ্ত বড় মুক্তিযোদ্ধা।
এই ভিক্ষুক আত্মসম্মানে অনুসূচক
লজ্জা ঘৃণায় মরে যেতে ইচ্ছা হয় ,
বার বার ।
কিন্তু!
শাস্তিযোগ্য পৃথিবী আমি
ছাড়তে পারিনি ।
তবে আর বেশী দূরে নয়,
খুব নিকটে।
আমি আবারও প্রশ্ন করলাম -
আপনি যে একজন মুক্তিযোদ্ধা-
তা আপনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন?
আমাকে হাসালে বাবা (খিল খিল খিল)
আমি এ দেশের একজন ভিক্ষুক,
ভিক্ষুক সেক্টরে আমি যুদ্ধ করেছি।
আমি , আমিই বলছি -
আমি বার বার বলবো ,
আমি বলেই যাব,
আমাকে কোন বাধা আটকাতে পারবে না।
আমি লিখবো ,
আমি অবশ্যই লিখবো,
আমি একটা ভিক্ষুক মুক্তিযোদ্ধার
ইাতহাস লিখবো।
তারপর আর কোন কথা না বাড়িয়ে
আস্তে আস্তে, ধীর গতিতে- আমার
সামনে থেকে বেরিয়ে পড়ল -
আমার বেড রুম থেকে রাস্তায় ।
আমি বারান্দার দেয়ালে নিজ
দেহটিকে এলিয়ে দিয়ে
তাকিয়ে রইলাম - একজন ভিক্ষুক
বীর মুক্তিযোদ্ধার দিকে।
এক সময় আমার চোখের আড়াঁলে
চলে গেল।
অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে রইলাম।
কিš ‘ আমার চোখের পাতা-
অশ্রুমিশ্রিত স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে
প্রশ্ন তুললো-
দেশ রক্ষা- কর্তা মুষ্টিমেয় চিন্তাবিদ,
অলস মস্তিষ্ক ,আর অলস রেখ না!
এখনও সময় আছে সচল করুন।
তবেই শেষ হবে -
আমার ইতিহাস লেখা।
তা-না হলে - কষ্টের ফসল
ত্রিশ লাখ শহীদের স্বাধীনতা
ও লাখো মা- বোনের লাঞ্ছনা এবং
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা
পচাঁ ডোবায় পড়ে -ডুকরে ডুকরে
কাঁদবে। আর হো হো করে হাসবে
সনদ প্রাপ্ত রাজাকার ,আল বদরের দল।
এখনও যুদ্ধ চলছে - নিজ অধিকার
প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।
এই যুদ্ধে জয়ী হতে চাই।
এটাই ইতিহাস লেখার শেষ অধ্যায়।
আমি আমাকে দেখেছি
আমি সদ্য প্রয়াসী পদ্ম ফুল
ক্যারোলিনা পাহাড়ের অগ্নি বকুল
ঝর্ণা ঝরা পাখির গান,
চিন্তা বিলাসী জোসনা ¯œান।
সংগ্রামী জীবনের শ্রদ্ধা বরণ,
অন্তর আত্মায় স্বপ্ন স্মরণ।
গাইহি আজ পথে পথে,
স্মৃতির পাতায় ভূমিকম্পের সাথে সাথে
ইরাক ইরান আফগানি স্থান,
গাঁজা উপত্ত্যকা তুর্কীস্থান।
কে পালাবে ভুরি
নাহি তরবারী।
মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে নাহি পারি
নাহি লজ্জা নাহি শরম,
আগুনের তাপ আসে সিক্ত বাতাসে নরম।
বুকে যন্ত্রনায় জ্বলি একা একা,
মিথ্যা সান্ত¦নায় আমি যে বোকা।
আমি দেখেছি
আমি শুনেছি
আমি করেছি
মৃত্যু আত্মার সাথে গোলা বারুদের যুদ্ধ
হু! হু! হু! শব্দে প্রলয়াংকারী অগ্নি বৃষ্টি,
মিশে গেছে সব আত্মার অহংকার, রেনেসাঁর
জোয়ারে আবারও শুরু হলো নতুনের সৃষ্টি।
বীর পুরুষের বীরত্ব ফেলে
হাতে নিয়েিেছ নুড়ি,
তৃষ্ণার্ত পাখিকে হত্যা করে
কামিয়েছি অনেক কড়ি।
আমার আত্মাকে খাইয়েছি যখন
জন্তু জানোয়ার দিয়ে ,
আমার ফাঁসি চাই বলেছি আমি
সুদের টাকা নিয়ে।
লক্ষ বেকারের পাসপোর্ট আজ
এই বাংলার হাতে -
কেন সন্ত্রাস হবে না, কেন ধর্ষণ হবে না ,
কেন ছিনতাই হবে না, আমারই সাথে।
আমি উন্মাদ
আমি পাগল
আমি আমাকেই দেখতে চোঁখে পরেছি কাজল।
আমি আমাকে দেখতে চাই - এক মহাবীর,
ঝড়ের আশংক্ষায় না যেন নত করি শির।
আমি স্বপ্নকে ঘুম পড়াতে চাই-
আতস বাজির সাথে,
কোন শিশু যেন দুধ না পেয়ে
অনাহারে না মাতে।
আমি শ্রদ্ধা করি শেখ মুজিব
আমি শ্রদ্ধা করি নজরুল,
সাত শ্রেষ্ট বীরকে জানাই
হাজার সালাম রক্ত গোলাপ ফুল।
আমি হারাম টাকা হালাল করি
মারি অন্ধ বিড়াঁল
কুকুর ছানাটি ঘেউ ঘেউ করে
খাদ্য এনে দেয় শিয়াল।
আমি দেখেছি- কোহিনুর
আমি শুনেছি- আশা
আমি গেয়েছি- মাতৃভ’মির গান,
যে মায়ের বুকে জেগেছি আমরা
পনের কোটি প্রাণ।
আমি মানি না কোন বাধাধরা নিয়ম,
আমি আমার হাতে আমাকে করব খুন
আমি আমার দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে-
হয়ে যাব আমি অন্ধ,
পৃথিবীর ধুলোর ধোয়া মাখা মন
হয়ে যাবে তখন বন্ধ।
[
আমার হাতের আঙ্গুল গুলো
হবে মোমের বাতি,
পনের কোটি হতভাগার
হবো না আমি সাথী।
আমি আমার পায়ে বেড়িবেধে
হাসবো সুখের হাসি,
অত্যাচার মিথ্যাচার শোকের ছায়া
দেখবে দেশ বাসী।
আমি আমাকে দেখেছি- মদ-জুয়ার আড্ডায়,
আমি আমাকে দেখেছি- নষ্ট নারী কামরায়
আমি আমাকে দেখেছি- সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজিতে,
আমি আমাকে দেখেছি- রক্তাত্ত মায়ের চোখের পানিতে।
আমি আমাকে দেখেছি-
ধ্বংস লিলাভূমির অগ্নি শিখাতে,
আমি আমাকে দেখেছি-
সুনামী সিডর নার্গিস আইলার আখি পাতে।
আমি আমাকে দেখেছি-
স্যাটলাইট আর ইন্টার্নেট মডার্ণ বাংলাদেশের
নগ্ন পোষাকে,
আমি আমাকে দেখেছি-
আলা- উদ্দীনের প্রদ্বীপের মত রাতারাতি
এক নতুন শহরে, অর্থের হলি খেলায়,
ইয়াবা টেবলেটের ঘুমান্ত বিছানায়।
আমি আমাকে দেখেছি-
পিলখানায় বি ডি আর বিদ্রোহ অস্ত্রের মুখে
আমি আমাকে দেখেছি-
এন জি ও, ধর্মীয় অধর্মীয় বীমা কোম্পানী
উলঙ্গ নারীর সুদের কারখানায়,
হাঃ হাঃ হাঃ করে চিৎকার করেছি
ভয়ঙ্কর আত্ম গ্র্যাসি হিং¯্র থাবায়
কী যে যন্ত্রনায় মন ,
করে আত্মগোপন।
মিডিয়ার চোখে ধোকা দিয়ে
করে বধূ বরণ,
সেবার নামে করে হয়রানি
জীবন দিয়ে দিল
বাঁকড়ার দুর্গা রানী।
আর কত হবে জগৎ যন্ত্রনা ,
আমার ভুল আমি বুঝি না।
আমি কেঁদে কেঁদে হয়রান,
আমি এই বাংলার জারজ সন্তান।
আমার চোখে নেই কোন আগুন
বাবার সন্ধানে -
আমি নিজেকে করি খুন।
আমার নেই কোন জাত
আমার নেই কোন ধর্ম ,
আমি নির্দিধায় করে যাই -
আছে যত অপকর্ম।
আমি আমাকে দেখেছি-
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রাপালায়
চারবন্ধু এক নারীর আলিঙ্গনের ছত্র ছায়ায়।
যেখান থেকে ধর্ষক হিসাবে পদক পেয়েছিল ’’মানিক”
আমি তো তার আত্মা গঠিত চারপুরুষের
জল জলে অনিক।
আমি স্বাধীন চিন্তায় চলা এক
চলন গোলাপ ফুল,
বাংলার মাটিতে বিষবৃক্ষ জন্ম নিয়েছে
বাংলা মায়ের ভুল।
আমি আমাকে দেখেছি
আহসান উল্লাহ মাষ্টার আর আই ভি রহমানের
হত্যা যজ্ঞের এক নির্মম নিষ্ঠুর মঞ্চে,
বুয়েট ছাত্রী সনি আর ধর্ষিতা জেসমিন
ঝরে পড়া কল্প তরুনীর হৃদয় পোড়া পুঞ্জে।
হাঃ হাঃ কার শুধু হাঃ হাঃ কার
এটাই আমার অহংকার।
আমি আমাকে দেখেছি-
সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইয়ের রাজনৈতিক চেতনায়,
মানুষকে জবাই করেছি- উন্মুক্ত আঙ্গিনায়।
আমি আমার মানচিত্র একে যাব
এই বাংলার মাটিতে ,
খাঁটি সোনাকে আগুনে পুড়িয়ে
রাখবো থালাতে।
আমি আমাকে দেখেছি-
বিল্লাল বালু মানিক সাহা রাজপথে পড়ে থাকা
রক্তাক্ত দরিয়ায়,
স্বপ্ন বিলাসী নাম যজ্ঞের কুসুম বাগিচায়।
আমি আমাকে দেখেছি-
মঞ্জুরুল ইমামের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন
কারবালায় রক্তাক্ত প্রান্তর ডেড বডিতে
তৃষ্ণার্ত জ্বলেছে মন
জীবনের ঘড়িতে।
আমি আমাকে দেখেছি-
কষ্ট মাখা বস্ত্রের থলিতে
শহীদ ইকবাল বিথারের রক্ত মাখা
খুলনার গলিতে ।
আমি আমাকে দেখেছি-
কাসেম পাঠান হালিম রহমত রফিকের
রক্ত মাখা চাদরে,
ঝরে গেল মন অনন্ত আসন
নিঝুম নীরব ভোরে।
আমি সংবাদ পত্র আর স্বাধীনতার
মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করি
হে বিদ্রোহী মন , বিপ্লবী সাগর
কবে দেব আমি পাড়ি।
আমার এই নষ্ট আত্মা
ডুবে গেছে নীল জলে
চোখ কান খোলা রাখিস
বাংলা মা তুই -
সব স্মৃতি কথা ভুলে।
বাঙলির সন্তান
লাল সবুজের গান
মাগো লাল সবুজের গান
তোর বুকের রতœ মাগো বাঙলি সন্তান ।
নয় মাসের যন্ত্রণা,
তোর সন্তানরা ভুলবে না।
আধাঁর রাতে নয়ন মাতে,
ভালোবাসার ছবি তাতে।
নদীর সাথে, মাছের সাথে,
জাহাজ নৌকার আখি পাতে।
পল্লী মায়ের প্রাণ,
এই বাংলা রূপের মান।
লাল সবুজের গান
মাগো লাল সবুজের গান
তোর বুকের রতœ মাগো বাঙলি সন্তান।।
ফুলের দেশ, ফলের দেশ,
মাটির মায়া , গাছের ছায়া
আমার সোনার বাংলাদেশ।
কবির দেশ , শিল্পীর দেশ,
নজরুলে দেশ , রবির দেশ
আমার সোনার বাংলাদেশ।
রাতের জোঁসনায় মুক্তিযোদ্ধা করে যে ¯œান
মাতৃভুমি রক্ষাতে রবে অম্লান॥।
ধানের দেশ, পাটের দেশ,
রবি শরিষার নেই কো শেষ
মাগো তোরই বাংলাদেশ।
তোর কোলেতে জন্মেছে মা
কাঙালী সুফিয়া, ফকির আলমগীর
বিশ্ব জোড়া খ্যাতি মাগো তোর বাঙলি বীর।
জসীম উদ্দিন,আব্বাস উদ্দিন,
এস এম সুলতান, জয়নুল আবেদীন,
মাগো তোর বুকেতে বাজে
তাদের বাঁশির বীন।।
লাখো শহীদের রক্তে গড়া
আলোর মিছিল জালো,
বঙ্গবন্ধু ওমর ভাষণ
বীর বাঙলির আলো।
বাংলা আমার মায়ের বুলী
বাংলা আমার জান,
আমরা বাঙালী জেগে উঠা-
বীর শহীদের সন্তান।
লাল সবুজের গান
মাগো লাল সবুজের গান
তোর বুকের রতœ মাগো বাঙলি সন্তান।