শিপস্ সুন্দরীর ঘর ভাঙা সংসার
নলিয়ান সুন্দরবন শান্তা শিপস্া নদীর তৃমোহনী । এই সমস্ত গ্রাম গুলো মানুষ গুলো স্বপ্ল আয়ের। মাছ ধরা কৃষি কাজ করা বনে মধু ভাঙা বনে কাঠ কাটা । এ সমস্ত পেশার লোক গুলো দেখতে পাওয়া যায়।
আবার দেউ আইয়িছে, আবার দেউ আইয়িছে, উত্তর নুলেন পাঠশালা তাত পানি আসি গেছে, অবদা বাধ ভাঙে গ্রাম তুলাতিছে।
-শুয্য কুরা যায় , এই হাবু পাগলের চিছা মেচি।
-ও ন চাচি কি কুত্তি চাও ।
-এ নব শুনতিস নে হবুর চিচা মেচি।
-ও তো ভাল কুত্তেছে। কিন্তু আবার প্রকৃতি আমাই নে যে ইদুর খিলা দিখাতেছে। কত দিন ভ্যালো থাকা যায়।
-কি কুরা বাড়ী ঘর শিপস্ ানদী খাইয়ে নেলে । আমরা নাস্তা নাস্তা আর কত দিন বুলতি পারিস।
- তা বলতি পারতিছি না। আমাগি বাকী জীবন নাস্তা কাটি যাবে। আজগি গাাংগে ভ্যাল মাছ পুড়তেছে । ও ন চাচি তুমি জাল ধরতি জাবা নাই। গোন জুলতেছে। বাগদার পোনার খুব তার উঠেছে।
ভোজ্য হাট এখানে শিপসা নদী বাগদার পোনা ক্রয় বিক্রয় করা হয় । বাগদার পোনার গ্রাম্য নাম (রেনু)।বিভিন্ন জায়গার ফৈড়েরা এখান থেকে রেনু কিনে নিয়ে যায় । এবং বিভিন্ন অঞ্চলে ঘের মালিকরাও এখান থেকে পাইকেড়ি রেনু কিনে নিয়ে যায।এই রেনু গুলো হাড়ি ভিতরে থাকে । হাড়ি ভিতরের পানিটা চক চকে পরিস্কার পানি। রেনু বিক্রেতার কাছে দৃুটি ঝিনুক থাকে । এই ঝিনুকের মাধ্যমে রেনু পোনা গোনা হয়। একটি হাড়ি থেকে অন্য হাড়িতে এই রেনু পোনা গুনে রাখা হয়। নলিয়ান ও শান্ত
গ্রামের জীবিকার একটি মাধ্যম। এখানকার পুরুষ মহিলা ছোট ছেলে মেয়েরা এই পেশায় নিয়োজিত।
জুব্বর জহুর হাদি রশিদ মতি এই আজ রেনু রেড কত চুলতেছে। জুব্বার জবাব দেয় , আজ দুশ টাক শ চুলতেছে।
কাশু বলে উঠে , আজ খুলনি থে আমার মালিক পোনা কিনতি আসতিস পাচ শ পোনা রাখি দিস।
- ঠিক আচ , রাখতিসি। কিন্তু কতা যেন ঠিক থাকে।
-ক্যান কুতা ঠিক থাকবে না।
-ভ্যালো কুতা কটায় আসবে।
-এগারো টা।
পাশ থেকে অন্যান্য বিক্রেতারা বলা বলি করতে লাগে – জুব্বার আজ দালালের পাল্লায় পুড়েছে । আজ আর বাড়ী চাউল ডাউল কিনে বাড়ী ফিরতি পারবে না।
আর একজন বলে উঠে হায়রে - আজ বোধস হয় বাচা গুলোর উপস থাকতে বেন।
হাদি বলে - এই মতি তুই বুলিদে , কাশু ইটা দালাল, ইটা বুঝলি ও তো বিপদে পুড়ে যাবে।
রশিদ একটু দুর থেকে হাকে কাশু একটু দুরে টোল ঘরে বসে আছে।
-এ জুব্বার আমার পোনা বেচা হুয়ি গেছে। তোর পোনা গুলো দে বিচি দেই। চার শ টাকা শ দিবানে।
জুবাবর বলে - পোনা ও বিচা হুয়ে গেছে
- তহালি চল বাড়ী যাই।
- তুই যা আমি পরে যাব
- তুই বাড়ী গে নুনু মারে বলিস , আমার ফিরতি একটু দেরি হবে।
পাশে দোকান তে চাউল আলু তেল কিনে দুপুরে রান্না চুড়ায় দেয়।
- ঠিক আছ
জীবন যার প্রবাহমান স্রোত যার কৃপায় সংসার নাক খেয়াটি চলমান। সেই রহমত শেখ এর বাড়ীতে গিয়ে উপস্থিত হয় মহসিন মাষ্টার । গেটের কলিংবেল টিপতেই গেটের সামনে হাজির হয় রহমত শেখ । গোটা গোটা চোখে তাকিয়ে বলে - আমার বাসায় এসেছো কেন?
-টাকার জন্য।
-ফোন করলে পারতে। ঠিক আছে এসে যখন পড়েছ্ ো। এখানেই দাঁড়াও আমি টাকাা নিয়ে আসি।
রহমত শেখ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রেখে ভেতরে চলে চলে যায় । মগসিন মাষ্টার চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কি যেন খোজার চেষ্টা কওে তার চোখেরসামনে এক বোঝা কষ্ট । কি যেন দেখার জন্য তার মনটা ছুটে ছুটে দেখছে, রহমত শেখ এর বাড়ীর প্রতিটা ইট গাছপালা। কখন সেই মুখটা একটু দেখতে পাবে , তার শিশু মেয়ে তানিয়াকে। বহু বছর আগে এই বাড়ীতেই একদিন রেখে যায়। মানে সে এই বাড়ীতে থাকে। একদিন অভাবের তাড়নায় বেচে থাকার তাগিদে জন্মে পরপরই শিশু কন্যা তানিয়াকে বিক্রি করে দেয় রহমত শেখের কাছে।মাষ্টার হওয়ার শর্ত্তেও বেতন না পাওয়ার কারনে।তারপর থেকে প্রতি মাসের খরচ বহন করে এইরহমত শেখ।টাকাটা প্রতি মাসে পাঠিয়ে দেয়। এই মাসে পাঠিয়ে না দেওয়ার কারনে মহাসন মাষ্টারের ্এই বাড়ীতে আসা।মহসিন মাষ্টারের সাথে তার মেয়ের দেখা হল না। ভেতর থেকে টাকা নিয়ে আসে রহমত শেখ। মহসিন মাষ্টারের হাতে হাতে দেয়দেয় এবং বলে- তুমি আর কখনও এই বাড়ীতে এস না।
-আচ্ছা ঠিক আছে। আসবো না। তা তানিয়া কেমন আছে।
- হ্যা ভাল আছে ।
-যদি ...
-না কোন যদি নয়।তুমি এখন আসতে পার।
-আমি একটা কথা বলতে চাইছিলাম।
-তোমার মাসের টাকা তো দিয়েছি।আবার কিসের কথা।
-টাকাই কি সব।
- যদি কোন কথা থাকে , আমি তোমার বাসায় যেয়ে শুনে আসবো । এখন তুমি আস।
এইবলে রহমত শেখ বাড়ীর ভেতর যেয়ে গেট আটকে দেয়। মহসিন মাষ্টার মাথা নিচু কওে নিজেকে ধিক্কার দিয়ে টাকা গুলো পকেটে গুজে নীরবে হাটা শুরু করে।এমন গেটে ভেতরে রহমত শেখ দেখে তানিয়া, এমন সময় পেছন থেকে দোতলার ঝুল বাবান্দাথেকে বাবা বলে একটা ডাক দেয়, বাইরের রাস্তা থেকে ডাক শুনতে পায় মহসিন মাষ্টার। ঘওে দাড়ায় ,তাকিয়ে পড়ে।রাস্তা থেকে চোখ চলে যায় দোতলার ঝুল বারান্দায়, মেয়ে দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকে ।তানিয়া কিছু বুঝতে পারে না।তানিয়া শুধু ভাবে কেন এই অচেনা লোকটি আমার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছে । তানিয়া ঘরের ভেতরে চলে যায় । মহসিন মাষ্টার মনে মনে হাসতে হাসতে হাতে থাকে। আজ তার মনটা যেন এক রাজ্য শান্Íি পেল।
তানিয়া নিজের বেড রুমে শুয়ে থাকে তার মনটা কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে।এমন সময় রহমত শেখ এসে আস্তে কওে তানিয়ার মাথায় তাহ দেয় , তানিয়া তন্দ্রাতন্দ্রা ভাবে চোখটা মেলে। রহমত শে